Latest News

March 30, 2021

নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি: বাসুলি চকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি: বাসুলি চকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাসুলি চকে দ্বিতীয় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

অন্তত ১ লক্ষ মানুষ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। দেখে মন ভরে গেল।

আমি ছোট বেলা থেকে শিখেছি সবাইকে ভালবাসতে সম্মান করতে। কখনো ভাগাভাগি করতাম না।

ছোটবেলায় রবীন্দ্র জয়ন্তি, গান্ধী জয়ন্তি, আম্বেদকারের জন্মদিন পালন করতাম। এভেবেই কবে দেশপ্রেমিক হয়ে গেছি বুঝতে পারি নি।

আইসিডিএস, আশার মেয়েরা খুব ভালো কাজ করেছেন। করোনার সময়েও ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ রেখেছে সকলের।

কাল আমাদের মিছিল যখন যাচ্ছে তখন নিজে থেকেই বাড়ির মেয়েরা জল এনে দিচ্ছে। নন্দীগ্রাম আতিথেয়তা জানে।

নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি

আমি যেখানেই দাঁড়াতাম জিততাম। সবাই আমাকে ভালোবাসে। আমি প্রথমবার লাল দুর্গ যাদবপুরে সোমনাথ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জিতেছিলাম। আমি মোট সাত বার সাংসদ হয়েছি। দু”বার মুখ্যমন্ত্রী। এইবার জিতলে মোট ১০ বার হবে।

আমি নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়িয়েছি জানেন। আমি যেদিন এখানে সভা করতে এলাম দেখলাম সবাই খোল-করতাল নিয়ে নাচ-গান করছেন। তখন আমার মনে হল এখানে কি আমার দাঁড়ানো উচিত। তখনই আমি ঠিক করলাম এখন থেকে দাঁড়াব।

এখন নন্দীগ্রামে কোনও বিধায়ক নেই। যাকে জিতিয়েছিলেন সেই গদ্দার তো পালিয়েছে। আমি কিন্তু ভবানীপুর থেকে এখনও বিধায়ক। এ বার নন্দীগ্রামের বিধায়ক হব।

নন্দীগ্রাম তোমায় এতো দিল আর তুমি কি করলে?

আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর ও হরিদাস আমাকে বলে কিনা বহিরাগত। ভাবুন।

ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমি ওখানকার মানুষদের বুঝিয়েছি, এ বার আমি গ্রাম থেকে দাঁড়াতে চাই। আর গ্রাম থেকে দাঁড়ালে তো নন্দীগ্রামের থেকে ভাল কিছু হয় না।

যার বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল সেই নব সামন্তকে দলে নিয়েছে বিজেপি। এখন গদ্দারের ডান হাত হয়েছে। ওকে দায়িত্ব দিয়েছে বয়াল, গোকুলনগর দখল করার। দেখব কী করে দখল করে। এই গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হবে।

রবি মান্না বলে ছেলেটাকে মেরেছে। বাঁচবে কি না জানি না। আমার পায়ের এই অবস্থাও বহিরাগতরাই করেছে। নন্দীগ্রামের মানুষেরা এরকম করতে পারে না।

কাল দেখলাম গুন্ডা নিয়ে ৩০-৩৫ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে ওরা। নির্বাচন কমিশনের কোন নিয়ম নেই। আমি প্রার্থী আমি ৫ টার বেশি গাড়ি রাখতে পারব না। ওরা কি করে পারবে?

সন্ধ্যে ৬ টার পরে কোন বহিরাগতকে থাকতে দেবেন না। ওরা সব জায়গায় ভয় দেখায়। ভয় দেখাতে এলে, গুন্ডামি করতে এলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন মা-বোনেরা।

দিল্লি থেকে ১০০০ নেতা এনেছে টাকার বাক্স নিয়ে বসে আছে, ওদের টাকা গাড়ি ভরে টাকা পাঠানো, এতো টাকা আগে জানতাম ই না

কাল একজন বলল ওর ৭০টা ট্রলার আছে। অন্য জন বলল ওটা ৭০০ হবে। পেট্রোল পাম্প থেকে আইটিআই কলেজ, হলদিয়া, কলকাতায় বাড়ি কি নেই ওদের?

বলছে সম্মান দেয় হয়নি। সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারপরেও বলল আমি অপমানিত। শুধু চেয়ার নেই ম্যান আছে, ওর চেয়ার বিজেপিকে বিক্রি করে দিয়েছে।

আজকে হোম মিনিস্টারকে নিয়ে এসেছিল। পুলিশকে ধমকানো আর চমকানোর জন্য। আর তো ৪৮ ঘণ্টা। এই ৪৮ ঘণ্টা ঘুরে নে। তারপর তো পগার পার হতেই হবে। আর হলদি নদীর ধারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন আমরাই থাকব।

আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হোক। তোমাদের তো এত টাকা। তাহলে ভয় দেখাচ্ছ কেন। তাহলে কি আগে থেকেই হেরে বসে আছ। গণভোট নিয়ে দেখ না। আমি তাতেও রাজি।

গন্ডগোল করে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। ১ লা এপ্রিল তো এমনিতেই এপ্রিল ফুল। ওই দিন বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন। আর সব ভোট আমাদের দিন।

সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। আর মাস্ক পরে যাবেন। মাস্ক না পরে থাকলে অনেক সময় সেন্ট্রাল ফোর্স বের করে দিচ্ছে। অনেক সময় গ্রামে গিয়ে বলছে বিজেপি-কে ভোট দিতে। বললেই রেকর্ড করে নেবেন। তারপর আমাকে পাঠাবেন।

ওদের একটা প্ল্যান আছে। নিজেদের দলের একটা মেয়েকে মারবে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে যেসব গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে ওদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর পুরোটাই হিন্দু- মুসলমান করে দেবে। খেয়াল রাখবেন।

দু’দিন বাদেই ওরা পগারপার হবে। ওদের বোল্ড আউট করে কান ধরে মাঠ থেকে বের করে দেব।

গুজরাট, দিল্লি, মুম্বাইয়ে দাঙ্গা করেছে। কিন্তু আমি বাংলায় দাঙ্গা বরদাস্ত করব না। আমি আপনাদের পাহারাদার

একমাত্র আমিই এনপিআর , এনআরসি করতে দিই নি রাজ্যে। এখন সিপিএমের যে হার্মাদরা সেদিন আপনাদের মেরেছিল তারাই বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে আসছে।

আপনাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। আমার বিনে পয়সায় দেওয়া চাল আপনাদের ৯০০ টাকার গ্যাসে ফোটাতে হবে। বলবেন দুশো টাকা না দিয়ে বিনে পয়সায় গ্যাস দে।

টাকা দিতে এলে খরচা করে ভোট বাক্সেও ওদের খরচা করে দিন।

মা-বোনেদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেব। ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ লক্ষ টাকা করে কম সুদে ঋণ দেব। ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব। হলদি নদীতে ব্রিজ তৈরি করে দেব। নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া যাওয়ার জন্যে।

বারো ক্লাসের ছেলে মেয়েদের ট্যাব দিচ্ছি। তাজপুর গভীর বন্দর হচ্ছে সেখানে ২৫ হাজার ছেলে মেয়ে কাজ পাবে।

১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। এমএসএমই তে আমরা প্রথম।

গোটা দেশে মোদীর সরকারের আমলে দেশে ৪৫ বছরে বেকারত্ব সর্বাধিক। আমরা এই মহামারিতেও ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছি। ১লা এপ্রিল ওদের ভোট না দিয়ে বোকা বানান।

ঠান্ডা মাথায় ভোট করুন। মাস্ক পরে যাবেন ভোট দিতে। পুলিশরা বিজেপিকে ভোট দিতে বললে রেকর্ড করে আমাকে পাঠাবেন আমি নির্বাচন কমিশনকে পাঠাব। একটি মেয়েকে মেরে আমাদের নামে দোষ দেবে। সাবধান থাকুন।

একজন বৃদ্ধা মারা গেছে ওদের প্রার্থী পোস্ট মর্টেম না করেই ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। কি করে দেয়?

নজর রাখুন বিজেপিকে নোংরা খেলা খেলতে দেবে না, ফেক বুক কইরছে, ফেক ভিডিও তৈরী করছে