Biswa Bangla Sharod Samman adds colour to Duga Puja

Like past years, the Bengal Government will be honouring the Best Durga Pujas with Biswa Bangla Sharaod Samman. This is the fourth year of the awards. Durga Puja committees participating from other states and foreign countries will also be honoured.

The winners of different categories are –

 

For Kolkata:

Sherar Shera – Suruchi Sangha, Abosar, Bosepukur Talbagan, Samaj Sebi, 41 Pally, Barisa Club, 66 Pally, Bhawanipur 75 Pally, Ahiritola Sarbojanin, Shreebhoomi, Hindustan Park, Mudiali, Kashi Bose lane Sarbojonin, Santoshpur Avenue South Pally Mangal, Chetla Agrani

Shera Protima – Tridhara, 95 Pally, Behala Natun Dal, Badamtala Ashar Sangha

Shera Mondop – Naktala Udayan, Dumdum Park Tarun dal, AK Block Salt Lake

Shera Bhabna – Dokhhin Kolkata Sarbojonin Durga Puja, Ajeya Sanghati, Ballygunge Cultural, Khidirpur 25 Pally, Falguni Sangha, Rajdanga Naba Uday Sangha, Netaji Colony Lowland Durgotsav Committee

Shera Alok Shojja – Kalighat Milan Sangha, Ekdalia Evergreen, Babubagan Dahkuriya, Shibmandir, Jodhpur Park

Shera Poribesh Bandhab – Ultadanga Pally Shree , Kumartuli Sarbojonin , Sikdar Bagan , Kakurgachi Jubak Brinda , Ultadanga Jubok Brinda , Jubo Maitry , Priyonath Mullick Lane , Alipore Sarbojanin, Batam Club, Purbachal Shakti Sangha

Shera Abishkar – Behala Natun Sangha, Tala Park Prottoy

Shera Theme Song/Shera Aboho – Suruchi Sangha

Shera Shilpi – Behala Friends, 64 Pally Durgotsab Committee, Aalapi

Shera Dhakeshri – Tala Barowari, College Square, 21 Pally

Shera Biswa Bangla Branding – Swadhin Sangha, Haridebpur Vivekananda Park Atheletic Club, Sanghashree, Selimpur Pally, Kolahal Goshthi, Garia Sarbojonin Dugotsab Committee Nabadurga

 

Here is the list of winners of Biswa Bangla Sharad Samman-2016

 

দুর্গা পুজোকে আরও রঙিন করে তুলল বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান

প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রদান করবে রাজ্য সরকারএটি তৃতীয় বর্ষ। কলকাতা ছাড়াও দেশের ও বিদেশের নানা পুজোর সেরাগুলিকে সম্মাননা প্রদান করা হবে এবছর।

এবছরের পুরস্কারের নানা বিভাগ আছে, যেমন প্রতিমা, মূল ভাবনা, আলোকসজ্জা, পরিবেশবান্ধব পুজো, বছরের সেরা আবিষ্কার,ঢাকিশ্রী, বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং, সেরার সেরা। 

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রদান করা হবে নভেম্বরে।  বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে সপ্তমীতে।

 

বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী যারা:

সেরার সেরা – সুরুচি সংঘ, অবসর, বোসপুকুর তালবাগান, সমাজসেবী, ৪১ পল্লী, বড়িশা ক্লাব, ৬৬ পল্লী, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী, আহিরীটোলা, শ্রীভূমি, হিন্দুস্তান পার্ক, মুদিয়ালী, কাশীবোস লেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব, সন্তোষপুর এভিনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল, চেতলা অগ্রণী

সেরা মণ্ডপ – নাকতলা উদয়ন, দমদম পার্ক তরুণদল, এ.কে.ব্লক, সল্টলেক

সেরা আলোক সজ্জা – কালীঘাট মিলন সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন, বাবুবাগান ঢাকুরিয়া, শিবমন্দির, যোধপুর পার্ক,

সেরা আবিষ্কার – বেহালা নতুন সংঘ, টালা পার্ক প্রত্যয়

সেরা শিল্পী – বেহালা ফ্রেণ্ডস, ৬৪ পল্লী দুর্গোৎসব কমিটি, আলাপী

সেরা বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং – স্বাধীন সংঘ, হরিদেবপুর বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাব, সংঘশ্রী, সেলিমপুর পল্লী, কোলাহলগোষ্ঠী, গড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি (নবদুর্গা)

সেরা প্রতিমা – ত্রিধারা, ৯৫ পল্লী যোধপুর পার্ক, বেহালা নতুনদল, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ

সেরা ভাবনা – দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীন দুর্গাপূজা, অজেয় সংহতি, বালিগঞ্জ কালচারাল, খিদিরপুর ২৫ পল্লী, ফাল্গুনী সংঘ, রাজডাঙা নবউদয় সংঘ, নেতাজী কলোনি লো-ল্যান্ড দুর্গোৎসব কমিটি

সেরা পরিবেশবান্ধব – উল্টোডাঙা পল্লীশ্রী, কুমোরটুলি সর্বজনীন, শিকদারবাগান, কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ, যুবমৈত্রী, প্রিয়নাথ মল্লিক লেন, আলিপুর সর্বজনীন, বাটাম ক্লাব, পূর্বাচল শক্তি সংঘ

সেরা থিম সং/ সেরা আবহ – সুরুচি সংঘ

সেরা ঢাকিশ্রী – টালা বারোয়াড়ি, কলেজ স্কোয়ার, ২১ পল্লী

 

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে বিজয়ীদের তালিকা

 

Post immersion, civic officials gear up clean-up process

Kolkata Municipal Corporation officials along with officials of other civic bodies are taking all measures to keep the environment clean post-immersion of the Durga idols.

As soon as civic workers immersed the idol into the Hooghly, a crane moved into action. Before the colourful countenance could disappear under water, the machine retrieved and moved it to an isolated corner. As the crane retreated, a large vehicle picked it up and loaded it onto a lorry.

The same sequence played out several hundred times throughout Thursday at Baje Kadamtala Ghat on Strand Road, where the immersions were on. The elaborate logistical arrangements that included a proper plan, several heavy vehicles, police deployment and co-operation from organizers ensured that the immersion of idols did not pollute the river.

Since morning, even before the immersions started, close to 50 KMC lorries lined up along Strand Road. A barge-mounted crane was stationed close to the ghat to chip in during emergencies. Eight cranes and six payloaders worked round the clock, picking up idols from the river and putting them on the lorries. Close to 200 civic workers were also present.

A MMIC who visited the ghats in the morning said the civic body has made adequate arrangements to expedite the immersion process without causing any pollution to the river. The idols are being retrieved as soon as they are immersed. Civic workers and divers are keeping an eye on them so that idols do not drift away, he said.

The civic body enforced rules strictly this time. Whenever a vehicle stopped at the road leading to Baje Kadamtala Ghat, a group of men rushed to the dismounted the idol. It was taken to a spot where leaves, flowers, garlands, earthenware and other accessories were dumped in an isolated area away from the river.

 

ভাসানের পর গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে সক্রিয় পুরসভা

কলকাতা পৌরসভা ও অন্যান্য পৌরসভার অধিকর্তারা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে যাতে দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পরিবেশ কোনো ভাবে দূষিত না হয়।

নাগরিক সমিতি হুগলি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে একটি বিশাল ক্রেন ওই মূর্তিটিকে তুলে একটি কোনে রাখবে যাতে কোনো ভাবেই প্রতিমার গায়ের রঙ জলে না মিশে যায়, ওই কোন থেকে পেলোয়াডর্স-এর মাধ্যমে প্রতিমাটিকে তুলে লরিতে বোঝাই করা হবে।
বাজে কদমতলা ঘাটে গতকাল কয়েকশো বার এই পুরো প্রক্রিয়াটি করা হয়েছে কারণ কাল ওই ঘাটে বিসর্জন হয়েছে বহু প্রতিমা।
এই সুবিশাল পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করেছে যে এই বিসর্জন থেকে কোনো ভাবেই পরিবেশ দূষণ হবে না।

সকালে বিসর্জনের বহু আগে থেকে কর্পোরেশনের ৫০টি লরি স্ট্র্যান্ড রোডে মজুদ ছিল। আপত্কালীন ব্যবস্থা হিসেবে আরেকটি ক্রেন রাখা হয়েছে যেটি একটি বড় বজরাতে লাগানো থাকবে। আটটি ক্রেন, ছয়টি পেলোয়াডর্স ও ২০০জন পুরকর্মী ওখানে সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকবে।

একজন এমএমআইসি যিনি সকালবেলা ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি জানান নাগরিক সমিতির এবারের যা প্রস্তুতি তাতে কোনো ভাবেই বিসর্জনের ফলে কোনো পরিবেশ দূষণ হবে না।

এবারে পৌরসভা খুব সক্রিয়, যে মুহূর্তে কোনো গাড়ি ঘাটে এসে দাঁড়াচ্ছে, পূরকর্মীরা ওখানে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমা নামিয়ে নিচ্ছে ও ফুল, পাতা ও অন্যান্য সামগ্রী যা বিসর্জন করা হয়ে থাকে, সেগুলোকে গঙ্গা থেকে একটু দূরে একটা জায়গায় জমা করা হচ্ছে।

Bengal Govt announces the names of Biswa Bangla Sharad Samman 2016 winners

The Bengal Government announced the name of the winners of the ‘Biswa Bangla Sharad Samman 2016’ to the best Durga Puja organisers across the globe. Along with the best pujas of Kolkata and Bengal, the overseas Puja organisers will also get the Biswa Bangla Sharad Samman-2016.

The categories – idol, pandal, theme, lighting, eco-friendly Puja, year’s invention, Puja atmosphere, artists, Dhakishree, Biswa Bangla Branding and the best of the best – are the categories from which the best competitors were chosen for the awards.

 

Here is the list of winners of Biswa Bangla Sharad Samman-2016.

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৬ বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার

রাজ্য সরকার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৬ -র বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কলকাতা ছাড়াও দেশের ও বিদেশের নানা পুজোর সেরাগুলিকে সম্মাননা প্রদান করা হবে এবছর।

এবছরের পুরস্কারের নানা বিভাগ আছে, যেমন – প্রতিমা, মূল ভাবনা, আলোকসজ্জা, পরিবেশবান্ধব পুজো, বছরের সেরা আবিষ্কার, ঢাকিশ্রী, বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডিং, সেরার সেরা।

আগামী ১৪ অক্টোবর শারদ সম্মান পুরস্কার দেওয়া হবে।

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে বিজয়ীদের তালিকা

 

 

রোম -জার্মানির রেডারে বাংলা – মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল। আটটি দিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বক্ষণের সফরসঙ্গী হিসেবে আমার থাকার সুযোগ ঘটেছিল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের বিমানে কলকাতা-দুবাই প্রথমে পৌঁছনো হয়। সেখানে আমরা একত্রে ছিলাম। মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গৌতম সান্যাল, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সঙ্গে ছিল একদল সাংবাদিক বারো সংখ্যায়।

আমরা দুবাই বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর হাই কমিশনের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানানো হয়। তাঁকে আলাদা করে সেরিমনিয়াল লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত প্রতিনিধিকে একত্রিত করে একটি বাসে করে আমরা উপস্থিত হই। কিছুক্ষনের মধ্যেই খবর আসে ভারতবর্ষের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ খুব নিকটে সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষা९ করতে চান। তারপর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংলগ্ন একটি বিরাট কক্ষে যেখানে সুষমা স্বরাজ নয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে রোমের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলেন। দিল্লি থেকে এসে তাঁরাও একই সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন। আমাদের যাত্রা ছিল ৪ সেপ্টেম্বর রোমের ভ্যাটিকান শহরে মাদার টেরিজার সন্তায়ন আখ্যায় আখ্যায়িত করার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। সুষমা স্বরাজ এবং তাঁর সঙ্গে আরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে সাংসদরা প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন তাঁরা সকলে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে উচ্ছসিত হন। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট কথোপকথন। আলাপ-চারিতা হয়। প্রতিনিধি দলে জনৈক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিও ছিলেন। সেখান থেকে একই বিমানে আমরা সকলে মিলে রোমের উদ্দেশ্যে রওনা হই।

ইউরোপের বুকে ভারতের এক বড় প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে। আরও ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি কলকাতা শহর রোমে উঠে আসছে। ২ তারিখে সময়সূচিতে রাত্রি হয়ে যাওয়ায় সকলে যে যাঁর মতো নৈশভোজ সেরে ঘরে চলে যায়। ৩ তারিখ সকালে যখন আমরা সকলে প্রাতরাশের ঘরে আলোচনা করছি, নিজেরা একবার ভ্যাটিকান সিটিতে গিয়ে পরিবেশটা একবার দেখে আসা যায় কখন। তখন দেখি হোটেল থেকে দু’কিলোমিটার দূরে ভ্যাটিকান সিটি চার্চ পরিভ্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসছেন। তাঁর এই ততপরতায় আমরা যুগপ९ বিস্মিত হয়ে পড়েছি। এর আগেইতালিও দূতাবাসের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দফতর থেকে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের ঘর বরাদ্দ নিয়ে এক অন্যায় এবং অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে দেশের রাষ্ট্রদূতভবনের এই অন্যায় কার্যকলাপ মেনে নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে বরাদ্দকৃত ঘরেই অবস্থান করেন। যে ঘরে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছিল তা দেখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যিনি ওই হোটেলে ছিলেন, তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমার ঘরের থেকে এই ঘর ছোট শুধু তাই নয়, একই ঘরের সঙ্গে যেখানে শোয়া এবং বাথরুম যেভাবে মুখোমুখি সংলগ্ন।

এমনকী , যেভাবে ঘরে বসার অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেই তা দেখে আমি বিস্মিত।কিন্তু যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী এসব বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তাঁর নিজের জীবন নির্বাহের মধ্যে দিয়ে বারবার প্রমান করেছেন। তাই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন চার তারিখের কর্মসূচীতে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানকে সারা বিশ্বব্যাপী মানুষের সামনে কীভাবে তুলে ধরবেন।

ওই দিনই বিকেলে হোটেলের লনে আমরা গোল হয়ে বসলাম। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিলেন হোটেল থেকে ভ্যাটিকান সিটি উ९সবস্থল পর্যন্ত আমরা একত্রে গান গাইতে গাইতে যাব। প্রথমে বিষয়টি শুনে অনেকে ভ্রুকুঞ্চন করেছিল। ইটা কি আদৌ বাস্তবে সম্ভব। শুরু হলো গান বাছাইয়ের পর্ব। একটি, দুটি করে চারটি গান বাছা হল। শুরু হল রিহার্সাল। নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা কখনো গান গাননি তাঁদেরও দেখা গেল ঠোঁট নাড়তে। গানের নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরেই রিহার্সাল শুরু হয়। ততক্ষনে হোটেলে আসা অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অধীর আগ্রহে আমাদের দেখতে জমা হতে শুরু করেছিলেন। প্রায় ৯০ মিনিট চলে গানের রিহার্সাল। গাঙ্গুলিকে লিখে প্রত্যেকের হাতে একটি করে অনুলিপি তুলে দেওয়া হল। যাঁরা গাইতে না পারবেন, তাঁরা যেন অন্তত সুর মেলাতে পারেন। গলায় একটা স্বেচ্ছাসেবকের মতো একটা করে বিশেষ ব্যাজ ঝুলিয়ে নেওয়া হল। যাতে লেখা হল ‘We are from the city of mother, Kolkata’। তার উপরে লেখা ছিল ’BENGAL’ । খুব সুসজ্জিত ছিল ব্যাজগুলি। প্রস্তুতি সম্পন্ন। চূড়ান্তভাবে যখন রিহার্সাল পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট হলেন। নির্দেশ দিলেন, পরের দিন চার তারিখ সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে যেন প্রস্তুত হয়ে তাঁর নেতৃত্বে রওনা হই।

৪ তারিখ সকাল। সাড়ে আটটাতেই যাত্রা শুরু হলো মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে। গান করে রোমের শহর ভ্যাটিকানের দিকে আমাদের যাওয়া। ততক্ষনে ভ্যাটিকানে চার্চের সামনে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটে গিয়েছে। ততক্ষনে সারা বিশ্ব থেকে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মানুষে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সারা পৃথিবী থেকে ১৮৫ জন বিশপ উপস্থিত। সারা শহরে একটা আলাদা মাধুর্য। আর তার মধ্যে দিয়ে রোমের রাস্তায় নেমেছে এসেছে কলকাতা, নেমেছে এসেছে বাংলা। নেমে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি অত্যন্ত রুচিবান, সংস্কৃতিবোধসম্পন্ন প্রতিনিধি দল। যাঁরা গান করতে করতে যত এগিয়েছে, রাস্তার দু’পাশের মানুষ অপার বিস্ময়ে লক্ষ করেছে। ‘মঙ্গলদ্বীপ জ্বেলে।..’ গানটি যখন গাওয়া চলছে তখন আমরা ভ্যাটিকান সিটির মুখে পৌঁছে গিয়েছি। কানায় কানায় পরিপূর্ণ পরিবেশ। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে চার্চের মাথার উপর ঝুলছে মাদার টেরিজার হাতজোড় করা মিষ্টি হাসির নিদারুন সুন্দর প্রতিকৃতি।সুসজ্জিত মঞ্চ।

অতর্কিতে আমরা দেখলাম মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধান, যাঁদের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্যাটিকান সিটিতে যাওয়া। তাঁদের প্রধান সিস্টার প্রেমা অন্তত একশো মিটার মঞ্চ থেকে নিচে নেমে এসে সমস্ত পুলিশ বেষ্টনীকে সরিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলেন মূল মঞ্চের দিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই সিস্টার প্রেমাকে বললেন, পুলিশদের বলে দিন আমার সঙ্গে আসা প্রতিনিধি দলের সকলেই যেন মূল মঞ্চে বসার স্থান পান। আমাদেরও সসম্মানে নিয়ে গিয়ে মূল মঞ্চের পিছনের সারিতে যা খুব বেশি হলে পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে। আমরা সকলে প্রত্যেকে প্রত্যেকের আসন নিয়ে বসলাম। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা। দু’ঘন্টার কর্মসূচি ছিল। মাঝখানে একটি অংশে বাংলাতেও প্রার্থনা করা হল। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ভারতবর্ষের আর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ যার এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তাঁদের উচ্ছাস চোখে পড়ার মতো ছিল। সমস্ত কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার পর মহামান্য পপ-সহ অন্যান্যদের নমস্কার বিনিময় করে মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসেন আমাদের কাছে। প্রখর রৌদ্রতাপ। অভাবনীয় উষ্ণতা। এর মাঝে কিছু বিদেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জনৈক প্রৌঢ়া, তার নাম ছিল ন্যান্সি, একটি হুইল চেয়ার বসিয়ে তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে তাঁর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। গলায় কাশি আটকে গিয়ে প্রায় দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। অসহায় অবস্থায় বৃদ্ধ ভদ্রলোক স্ত্রীর গলায় হাত দিয়ে তাঁকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ত९ক্ষণা९ ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সহযোগিতা করলেন। জলের ছিটে দিলেন মুখে। সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে থাকা ওষুধ বের করে তাঁকে খাওয়াতে বললেন এবং তাঁকে অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালের পাঠানোর ব্যবস্থা নিজে দাঁড়িয়ে করলেন। এর মধ্যে মনে হচ্ছিল যে রোম যেন কলকাতা হয়ে গিয়েছে।

সেখান থেকে আমরা ফিরে এলাম। সকলে নিদারুন খুশি। মুখ্যমন্ত্রী এর মধ্যেই কলকাতায় খোঁজ নিলেন মাদার হাউসে। অত্যন্ত সুন্দরভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং সমাধিক্ষেত্রে ১০৪টি গোলাপ ফুলের পুস্পস্তবক তাঁর তরফ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোমে বসে থাকলেও বাংলার দিকে তাঁর মন সবসময় পড়ে ছিল। ইতিমধ্যে তিনি একটি ভালো সংবাদ পেয়েছেন। তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস, সর্বভারতীয় ভিত্তিতে সর্বভারতীয় সীকৃতি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা বলা হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে বললেন, ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি এই নির্বাচন কমিশনের কাছে কাগজ জমা দিতে গিয়েছিলাম। কতকিছু পদক্ষেপ অতিক্রম করে আজ দল সর্বভারতীয় দলে উন্নীত হয়েছে। টুইট করলেন, উচ্ছাস প্রকাশ করলেন। চোখের মধ্যে এক নিদারুন তৃপ্তি লক্ষ করলাম। মনে হল এমনভাবে অসম্ভবকে একক শক্তিতে কেউ সম্ভব করতে পারে যা বোধহয় কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে স্বপ্নেও ভেবে ওঠা মুশকিল।

পরের দিক সকলেই বায়না ধরলেন, দিদি রোমে শহরটা একবার দেখতে যেতে হবে। দু’ঘন্টার ছোট পরিক্রমা। ইতিহাস বিজড়িত রোমে শহর। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট থেকে শুরু করে যে বাড়ি থেকে মুসোলিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদদের যে স্থান তাঁরা রক্ষা করছেন ‘ওয়াটারহাউস’ নাম দিয়ে। সে সব পরিভ্রমণ করলেন, ঘুরলেন, দেখলেন। খুব পছন্দ হল শহরে কোনও ‘হাইরাইজ’ বিল্ডিং দেখলেন না। তা নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে, উচ্চতার মধ্যে। খুব শৃঙ্খলাপরায়ণভাবে শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। সব দেখে মন্তব্য করলেন, আমাদের দেশেও এমনটা হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যা এই পরিবেশ কখনও গড়ে উঠতে দেবে না। একটা পুরো দেশ ইতালিতে যে পরিমান জনসংখ্যা, একটা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা তার থেকে বেশি। ভারতবর্ষের কথা তো বাদই দিলাম। রোমে সফর চার্চের অসাধারণ শিল্পের প্রতিফলন। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অতীতের উপস্থিতি এই রোম শহরের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে রয়েছে তা প্রতি পদে পদে পরখ করে দেখা যায়।

পরের দিন, আমাদের পৌঁছতে হবে জার্মানি। মিউনিখ শহরে। আমাদের রোম থেকে চলে যাওয়া কথা ছিল অন্যত্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হল। সেই সফরসূচিতে জার্মান এয়ারলাইন্সের বিমান লুফতহানসায় করে এসে পৌঁছলাম মিউনিখ। সন্ধ্যাবেলা। সেখানে দেখলাম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত আছেন অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে আমাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে আমরা যখন পৌঁছলাম তখন রাত দশটা।

পরের দিন সকাল আটটাতেই অর্থা९ ছ’তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ডঃ অমিত মিত্রর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল জার্মানির বিশ্ববিখ্যাত গাড়ির প্রধান কার্যালয় বিএমডব্লিউ-তে। ন’টায় নির্ধারিত একটি বৈঠকের কর্মসূচির খবর পান। সেখানে ডঃ মিত্রের সঙ্গে মুখ্যসচিব, অর্থসচিব, বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং আমি। আমরা উপস্থিত হলাম। বিএমডব্লিউর সিইও-সহ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু’ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক। আমি নিজে যেটুকু বুঝলাম যে, বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও যে ভারতবর্ষের কতগুলি স্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে সেগুলি হচ্ছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, গুরগাওঁ। কথা প্রসঙ্গে ওঁরা এটা জানালেন যে কলকাতাকে আমরা আমাদের মানচিত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। মানচিত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে সেটা চলতে থাকবে। ইতিমধ্যে সর্বাধিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী আদালতের যে রায় আমাদের টাটার ন্যানোকে নিয়ে ঘোষিত হয়েছিল সেকথাটিও বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষকে আমাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল। এই ভেবেই জানিয়ে দেওয়া হল, যে তাঁদের মনের মধ্যে যাতে এই ধারণা কখন না হয় সেখানে শিল্পের পরিবেশ আঘাত খেয়েছে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেভাবে শিল্পোদ্যোগীদের নির্দেশ দিয়েছে সেই কোথায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকে বলে এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে এটা উদ্ধার হল যখন আমরা তাদের বিশাল অট্টালিকার উপর থেকে বিএমডব্লিউর ফ্যাক্টরি দেখছি শুনলে আশ্চর্য হতে হয় তাঁদের ফাক্টরিটি তৈরি ১৫০ একরে। কিন্তু টাটা মোটরস এখানে এক হাজার একর জমি নিয়েছিল। বিরোধী দলে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ছ’শো একর পর্যন্ত করুন। সেই বিষয়টি তাঁরা অধীর মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। কলকাতা শহরের পার্শবর্তী এলাকার যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিমান থেকে কলকাতা শহর আসা-যাওয়ার যে ব্যবস্থা, কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য সরকারের হাতে যে এক লক্ষ দশ হাজার একরেরও বেশি জমির যে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। যেখান থেকে ইচ্ছা করলেই জমি নিয়ে কাজ করা যায়। সব তাঁরা অধীর আগ্রহে মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং অদ্ভুতভাবে আগামী পাঁচ বছর পর দেশের পরিবহন ব্যবস্থা কোন দিকে মোড় নিতে পারে সে সম্পর্কেও তাঁরা তাদের একটি উদাহরণ দিচ্ছিলেন। আমরা দেখলাম প্রায় ন্যানোর থেকে একটু ছোট গাড়ি বিএমডব্লিউ বের করেছে। জার্মানির রাস্তায় চলছে। পিছনে দুই, সামনে এক ছোট্ট একটা গাড়ির পিছনের ছাপটা বিএমডব্লিউর। দামটা সতেরো লক্ষ টাকা। কিন্তু মানুষ গাড়িটাকে গ্রহণ করেছে। মোটরবাইক তৈরী করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রোম থেকে জার্মানির উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আসছিলেন তখন তাঁর সামনে যে ‘পেট্ৰোল’ গাড়ি দেয়া হয়েছিল, তা ছিল দুটি মোটরবাইক। তা ছিল বিএমডব্লিউর। মুগ্ধ বিস্ময়ে মুখ্যমন্ত্রী তখনই বলছিলেন, কলকাতা শহরে ট্রাফিক পেট্রোলে মানে ভিআইপি পেট্রোলের জন্য যে গাড়িগুলি চলাচল করে সেগুলিকে বদলে দেওয়া হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে এবং সেই গাড়ি চালকদের প্রতি অন্যান্য গাড়ি চালকদের যে সম্মান প্রদর্শন, যেভাবে তারা গাড়ি রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, না দেখলে ভাবা যায় না। অন্য গাড়িতে তো চারজন করে বসতে হয়। এতে একজন করে লোক দু’টো করে গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেই গাড়ি দেখলাম। অমিত মিত্রর সঙ্গে যখন আমরা তাঁদের শোরুম ভিজিট করতে গেলাম অফিসের নিচেই সেই বাইকের উপর তাকে চড়িয়ে বসালাম। একেবারে নতুনভাবে বেরিয়ে এসেছে যে বিএমডব্লিউতে অমিত মিত্র, আমি দুজনে বসলাম। ফটোগ্রাফার ও আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের ছবি তোলার সুযোগ দিতে। সাংবাদিক বন্ধুরা চতুর্দিকে ঘুরেফিরে পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখলেন। ফিরে আসলাম এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে। জানতে পারলাম বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জের মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে এখন প্রচুর প্রতিযোগিতা। কিন্তু অটোমোবাইল শিল্পে জার্মানির অগ্রগতির কথা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। মুখ্যমন্ত্রীকে এসে জানালাম। হঠা९ করে অধিক উচ্ছাস প্রকাশ করা, কোনও কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগেই প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য দেওয়া এসব থেকে তিনি এখন অনেক দূরে আছেন। আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিশ্বাসই করছেন যে তিনি চেষ্টা করে যাবেন। তাঁর চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকবে না। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আরও সদর্থক উদ্যোগ, আরও সুচিন্তিত ভাবনার প্রতিফলন এবং বাস্তবের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য সম্ভব এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত মেপে পা ফেলবেন।

ওই দিনে বিকেলে তিনি ভারতবর্ষ থেকে যাওয়া বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। সেখানে মুকেশ আম্বানির প্রতিনিধিও ছিলেন, রতন টাটার প্রতিনিধিও ছিলেন। দেশের আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন। পরের দিন যে চূড়ান্ত বৈঠক মিউনিখ শহরে হবে সেখানকার বিস্তৃত কর্মসূচি নিয়ে সেখানে আলাপ আলোচনা হল। পরের দিন সেখানে পৌঁছে যাওয়া হল।

সাত তারিখ সকাল। আমাদের সেখানে পৌঁছে জার্মানির ক্যাবিনেট মন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন। পরবর্তীকালে বৈঠক চলার সময় পাঁচজন জার্মানির কনসার্নের প্রতিনিধি, পাঁচজন বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগী ও আমাদের ভারতীয়দের পক্ষে পাঁচজন। মোট দশজন সেখানে বক্তব্য রাখলেন। মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তীকালে তাঁর সাবলীল ভঙ্গিতে যে বক্তব্য রাখলেন তা এক কথায় অত্যন্ত প্রাণস্পর্শী। টাটার প্রতিনিধি যখন এসে বললেন সরকারের কাছ থেকে টাটা স্টিল প্রচুররকম সহযোগিতা পেয়ে থাকে। মুকেশ আম্বানির প্রতিনিধি যখন বললেন আগামী দিন পশ্চিবমবাংলাই হচ্ছে মূল লক্ষ পথ। এটাই আমাদের চেয়ারম্যান বিশ্বাস করেন। তখন আমরা গর্ব অনুভব করছি।এবং জার্মানিতেও বহু সংখ্যায় ভারতীয় কীভাবে শিল্পের সঙ্গে, কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন তা সেখানে গিয়ে একবার নজর কাড়ল। আমার মনে হয় বাংলা থেকে যে বক্তারা সেখানে বক্তব্য রাখলেন যে উত্সাহ, যে উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিলেন তাতে দেশ স্বাধীনতার পর নিজের রাজ্যের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে এমনভাবে বাংলাকে তুলে ধরতে কখনও দেখা যায়নি। একসুরে, একটাই কথা, ‘বাংলায় বিনিয়োগ করুন, বাংলায় আসুন’। সকলের একটি নিদারুণ সহযোগিতায় একটি সফল সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, যে বাংলা আগামী দিনের সদর্থক পদক্ষেপে শিল্পায়নের দিকে এগোবে এবং ছোট মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পের স্থাপনের দিকেও তাদের নজর থাকবে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না এবং জার্মানিকে তাদের মন্ত্রীর মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানালেন যে জানুয়ারি মাসে যে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন আবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে তাতে যেন জার্মানির ভালো সংখ্যায় প্রতিনিধিরা যেন উপস্থিত থাকেন। বিএমডাব্লিউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওই সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন। আমার যা মনে হয়েছে যতটুকু ঘটছে তাতে আপাতত সেটুকুর মধ্যে গোটা বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্চনীয়। অতিরিক্ত আশার ফুলঝুরি দেখিয়ে পরবর্তীকালে কোনও পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হল না সেই পদ্ধতিতে যাওয়া কখনওই ঠিক নয়। অতিরিক্ত উচ্ছাস প্রদর্শন করে বাস্তবের সঙ্গে তার সাযুজ্য বা মিল রইল না এমন রাস্তাতেও হাঁটা ঠিক নয়। আর সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী কোন ঘটনাকে একটা অতিরিক্ত উচ্চতায় তুলতে চাইলেন না বলে তিনি একটা অসাধারণ মনোভাব নিলেন। যাতে প্রমাণিত হল তিনি তাঁর সমস্ত ইচ্ছাশক্তি দিয়ে বাংলার শিল্পায়ন চান। কিন্তু তার জন্য কোনও এমন উচ্চতায় বিনা কারণে তুলতে চান না যা পরবর্তী কালে সমালোচকদের মুখ খুলতে সহায়তা করে।

ফিরে আসার পালা। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সর্বোচ্চ পদযাত্রা একদিকে ১৬ কিলোমিটার। আসার আগের দিন আট তারিখ। এই একটি বিষয়ে তাঁর এক সহযোগীকে রোজ দেখতে পাওয়া যেত না। পালা পরিবর্তন করে হাঁটতে হত। কিন্তু তিনি থাকেন প্রতিদিনই একই রকম। তিনি চলেন, বিভিন্নভাবে মানুষ তাঁর পাশে আসেন। হাঁটতেই থাকেন। তিনি চলতেই থাকেন। জীবনের আরও একটি নাম তো চলা। আর সেই সেই চলার পথে তিনি কখনও খামতি দিতে চান না। এই কয়েকদিনের সফরে থেকে দেখলাম তাঁর মানবিকতার দিক। সকলকে নিয়ে একটি পরিবারের মতো থাকার দিক। বিশ্ব বাংলা যে একটা শুধু স্লোগান নয়, বিশ্ব বাংলা যে একটা উপলব্ধি, বোধ। বিশ্ব বাংলা রোম এবং জার্মানির মতো দু’টি স্থানে তার উপস্থিতি প্রমাণ করে সার্থকভাবে ফিরে এল এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আরও ব্যাপকভাবে চালু থাকবে। আর সে কারণেই আগামী নভেম্বরে আবার ভারত-মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সকলে মিলে আরও বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দেবেন। যা সম্পন্ন হতে চলেছে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। বিমানে ফেরা। মিউনিখ-দুবাই-কলকাতা। সেখানেও পায়ে হাঁটা। সকলকে তাঁদের দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন করে দেওয়া। ফেরার সময় এমিরেটস বিমান কর্তৃপক্ষের অন্যতম কর্ণধার স্বয়ং এসে মুখ্যমন্ত্রীকে এবং সদলবলে তাঁর সমস্ত টিমের সহযাত্রীদের একসঙ্গে করে নিয়ে গেলেন। বিমানবন্দরে দুবাইয়ের মতো অনেক কড়াকড়ির ব্যবস্থা। যেখানে এই সম্মান তাঁরা সুষমা স্বরাজকেও দেননি বলে আমরা জানলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা দিলেন। বিমানের মধ্যে বিমান সেবিকাদের ছবি তোলার নিদারুণ আগ্রহ। মিউনিখ বিমানবন্দরেও ভারতীয়দের মধ্যে এমন এক প্রচলিত মুখ যা সত্যিই আমাদের গর্বের এবং অহংকারের।

 

Like Mahatma Gandhi, Mother Teresa – now Saint Teresa – was deeply religious and yet beyond religion: Derek O’Brien

Of the hundreds of Catholic orders across the world, only one has an office in the Vatican itself: the Missionaries of Charity, founded by Mother Teresa in Kolkata. Of the thousands of saints recognised by the Catholic church, a formal induction ceremony, as part of the canonisation process, has been reserved for only about 800. On September 4 Mother Teresa joined them. She will became the 10th St Teresa, St Teresa of Calcutta/Kolkata, and like the others distinguished by the city she is most identified with.

This background is important to understand why the canonisation of Mother Teresa is a special event even within the narrow space of the Catholic church’s conferring of sainthood on its most revered. Some have been so honoured centuries after death. Joan of Arc was murdered in the early 15th century and canonised in the early 20th century.
Mother Teresa is being canonised merely 20 years after her passing. She is recognised as special, both within the Catholic church and outside. She is recognised as somebody who always introduced herself as an Indian, and yet rose above national boundaries to become a global icon.

This is reflected in how her canonization became a truly a truly event. From Bengal we were lead by our Didi. There were other delegations too from across the world (including one lead by the External Affairs Minister and another by the Chief Minister of Delhi ) but it must be said the warmth and love showered on Mamata Di by the Missionaries of Charity was very, very special. In an unprecedented gesture, Sr Prema walked down 150 meters from the main altar, took Didi gently by the hand and walked up the aisle as pilgrims applauded spontaneously. What a moment! Throughout the two and a half hour service, the Chief Minister of Bengal was seated between Sr Prema, the successor to Mother Teresa and another senior sister from the Missionaries of Charity.

Mamata Banerjee first met Mother Teresa in the early 1990s in the context of disquieting religious violence in Kolkata. A few months ago – shortly after the assembly election results in Bengal – Sister Prema, worldwide head of the Missionaries of Charity, visited the chief minister and invited her to the ceremony. The offer was gratefully accepted. I was fortunate enough to be asked to accompany Mamata Banerjee. In my 13 years with Trinamool, it was one of the most emotional journeys I have made with Didi.

Others made the journey to the Vatican as well. Some 150 pilgrims from Kolkata, and 15 inmates (i prefer the word “residents”) of the homes for the poor that the Missionaries of Charity run in the city, and several others touched by Mother’s life and by the 5,000 nuns and brothers of her order, across 130 countries, either came to Rome or watched on television.

Not all of them are Catholic or even Christian. Like Gandhi, Mother Teresa was deeply religious – and yet beyond religion. When she picked up the sick and the indigent, literally off the street, cleaned and tended to them with her own hands and took them “home”, she didn’t stop to first ask for the religious identity of the person. “Yes, I convert,” Mother once said, “I convert Hindus to become good Hindus, I convert Muslims to become good Muslims, I convert Christians to become good Christians.” While remaining true to the tenets of her faith, she was enlightened enough to appreciate the pluralism of our society.

My association with Mother Teresa began in the early 1970s, in class VIII. Father Bouche, a Belgian priest who taught us in school, encouraged us boys to make paper packets (thongas, as we call them in Kolkata) for use at Shishu Bhawan, the children’s home the Missionaries of Charity ran.

Those of us not adept at making packets (like me) were asked to collect newspapers at home and from neighbours. The experience left an impression on us; we felt we were being useful. In college and as a working person, i volunteered at Shishu Bhawan and was lucky to meet Mother often. Those are fulfilling memories i still cherish.
We can all disagree with some aspect or the other of Mother’s life. She would not be happy with my views on abortion or divorce. The criticism that the Missionaries of Charity did not consider psychological issues of the sick and the infirm or provide for palliative care – a specialised area now – for the terminally ill has been addressed only in recent years.

Nevertheless, when we assess her life, the good she did far, far outweighs the minor quibbles. Let’s not get engrossed in those quibbles. Let’s celebrate our Mother and her moment.

 

Kolkata brightens up for Durga Puja

West Bengal Government and Kolkata Municipal Corporation is taking huge initiative to transform Kolkata into City of Lights during the ensuing festive season. Important landmarks and crossings in the city have been illuminated.

Important crossing including Shyambazar, Dalhousie, Dorina Crossing, Park Street, Ellot Park, Rabindra Sadan, National Library, Hazra Crossing, Rashbehari Avenue, Gariahat flyover and the river front will be illuminated during the Pujas.

Important and heritage buildings will also be decorated with light chains.

 

দুর্গা পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে কলকাতা

রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসংস্থার যৌথ উদ্যোগে দুর্গা পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা।

শহরের উল্লেখযোগ্য বিল্ডিংগুলি এবং রোড ক্রসিংগুলোও আলোর মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোড ক্রসিংগুলি যেমন-  শ্যামবাজার, ডালহৌসী ডোরিনা ক্রসিং, পার্ক স্ট্রিট, এলিয়ট পার্ক, রবীন্দ্র সদন, জাতীয় গ্রন্থাগার, হাজরা, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এছাড়া গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার, গঙ্গার পাড় সকিছুই সাজানো হয়েছে আলোর মালায়।

উ९সবের এই কদিন সব গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিং গুলি চেন লাইট দিয়ে সাজনো হবে। এছাড়া সরকারি ভবনগুলি এবং হেরিটেজ বিল্ডিং গুলোও আলো দিয়ে সাজানো হবে।

 

Civic volunteers, welfare workers get medical benefits under Swasthya Sathi

Volunteers of the civic police and green police, and workers of the Integrated Child Development Scheme (ICDS) and accredited social health activists (ASHA) are now receiving financial benefits from the State Government up to Rs 5 lakh in case of critical ailments under Swasthya Sathi scheme introduced by the Trinamool Congress government.

The main features of the Scheme are:

(i) The scheme will have basic health cover for secondary and tertiary care upto Rs. 1.5 Lakhs per annum.

(ii) There will be no cap on the family size.

(iii) Critical illness like, Cancer, Neuro surgeries, Cardiothoracic surgeries, liver diseases, blood disorders etc. will be covered upto Rs. 5 lakh.

(iv) All pre-existing diseases will be covered.

(v) The entire premium will be borne by the State Government with no contribution from the beneficiaries

The scheme is being implemented by the Department of Health & Family Welfare, Government of West Bengal.

 

সিভিক পুলিশ ও আশার কর্মীদের জন্য এলো রাজ্যের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প

সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশ এবং আই সি ডি এস ও আশার কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প চালু করছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মচারীরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক বিমার কভারেজ পাবে।

প্রকল্পের মুল সুবিধা:

  • এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মচারীদের বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা বিমা কভারেজ দেওয়া হবে।
  • এই প্রকল্পের আওতায় কর্মচারীদের পরিবার পরিজনদেরু আওতাভুক্ত হবে এবং এর সংখ্যা সীমাহীন।
  • বিভিন্ন মারণ রোগ যেমন – ক্যান্সার, নিউরো সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, যকৃতের রোগ, রক্তের রোগ ইত্যাদির জন্য দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা।
  • সব রকম রোগের চিকিৎসাই এর মাধ্যমে করা যাবে।
  • সমস্ত প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দ্বারা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

 

State’s hired cars scheme gets overwhelming response

The initiative of the state Transport department to make self-driven hired cars available in Kolkata has become immensely successful with all cars being booked within five days of its launch.

The private company that was given permit to facilitate the service decided to add more cars to its fleet before the Puja.

The state Transport Minister, had inaugurated the service on October 28. Within the past few days, all the cars have been booked and curiosity among people about the service has gone up.

The service was launched with a fleet of 15 cars of different classes. But with all the cars being booked from Shasthi onwards, the service provider has decided to add another 10 cars to their fleet.

It is believed that this scheme will give a boost to tourism as tourists can hire a car and visit tourism destination in the State without hassles.

Mamata Banerjee to inaugurate Durga Puja pandals in Kolkata

With the beginning of Debipakkha, like past years, Bengal Chief Minister will inaugurate the Durga Puja of Chetla Agrani by performing the ‘Chokkhudan’ of the Durga idol. Incidentally, she had inaugurated the Durga Puja of Shreebhumi Sporting Club on September 28 .

The Chief Minister is scheduled to inaugurate Durga Pujas of Naktala Udayan Sangha, Ekdalia Evergreen, Singhi Park, Suruchi Sangha and many other clubs and organisations in the run up the Pujas.

Different schemes and projects like Safe Drive Save Life, Biswa Bangla, Mother Teresa’s canonisation, Mahashweta Devi’s life and works will adorn the themes of different Durga Puja pandals this year.

The Chief Minister has appealed to one and all to maintain peace and harmony during the festivities.

 

আজ থেকে দুর্গা পুজোর  উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ দেবী পক্ষের শুরু। প্রত্যেক বছরের মতই আজ চেতলা অগ্রণী ক্লাবে মা দুর্গার চোখ এঁকে পুজোর উদ্বোধন করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বুধবার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন।

এরপর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, একডালিয়া এভারগ্রীন, সিংহী পার্ক, সুরুচি সঙ্ঘ সহ আরও অনেক পুজোর উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

এবছর বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ প্রকল্প, মাদার টেরেসার সন্তায়ন, মহাশ্বেতা দেবীর জীবন, বিশ্ব বাংলা সহ নানা থিম এবারের পুজো প্যান্ডেল গুলোতে।

সব মিলিয়ে পুজোর দিনগুলিতে সকলকে শান্তি সম্প্রীতি বজার রাখার জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Enjoy an experience of Kolkata’s heritage this Puja courtesy Bengal Tourism

West Bengal Tourism Development Corporation (WBTDC) and the Calcutta State Transport Corporation (CSTC) have made arrangements to show some of the Heritage Pujas in and around the city. This is a chance to traverse down Kolkata’s memory lane during Durga puja now have the option of visiting the city’s centuries-old palaces and bonedi baris .Fascinatingly, each puja has a different story to tell or at least a unique ritual that sets it apart from the rest.

One of the tours begins from the house of the Sabarna Roy Choudhurys of Behala Barisha, where the historic agreement took place with Job Charnock in 1698 that gave the British trading rights of Kolkata. The aatchala (eight-pillared courtyard) still exists and so does this heritage puja.

The bus trip takes a tourist through the city’s majestic heritage to Rani Rashmoni’s house on S N Banerjee Road, where the Goddess and her family has features like Lord Jagannath of Puri to Dutta Baari (Thanthania), where one gets to see the Goddess Durga relaxing on Mahadev’s lap.

The CSTC takes tourists through heritage pujas starting from Belur right upto Barisha on a Volvo Bus from Esplanade on Saptami, Ashtami and Nabami. Food is on the house with an elaborate lunch being served at the Sovabazar Rajbaari. One offbeat puja covered on this trip is the Baghbazar Halderbaarir pujo where the idol is a two feet Goddess made from Kostipathar.

The tour also take tourists to Belur where the Kumaripuja is famously held on Ashtami morning. CSTC takes tourists to Belur, Bagbazar Haldarbaari, Sovabazar Rajbaari, Latubabu, Chatubabu, Rani Rashmoni’r baari, Mukherjeebaari (Behala), Sonar Durga (Behala), Sabarna Roy Choudhury’s baari in Behala Barisha.

The day trip includes a visit to Khelat Ghosh’s Baari, Sovabazar Raj Baari, Chhatubabu Latubabur Puja, Chandra Baari, Rani Rashmoni Baari, Thanthania Dutta Baari while the noon trip takes you to Khelat Ghosh’s Baari, Sovabazar Raj Baari, Chhatubabu Latubabur Puja, Chandra Baari, Rani Rashmoni Baari and  Bagbazar.

 

এবার পুজোয় কলকাতার বনেদি বাড়ির দেখার সুযোগ করে দিল পর্যটন দপ্তর

পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম এবং কলকাতা ভূতল পরিবহণ নিগম যৌথ প্রয়াসে এবছর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। এবার পুজোয় কলকাতার ঐতিহ্যের আস্বাদ নিতে, স্মৃতি বিজরিত নানা বনেদি বাড়িতে দুর্গা পুজোর সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দর্শনার্থীদের। পর্যটন বিভাগ ও সিএসটিসির উদ্যোগে এবারে পুজোয় থাকছে একটি ট্যুর যাতে কলকাতার সমস্ত বনেদি বাড়ির পুজো ঘোরা যাবে।

বেহালার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ি থেকে শুরু করে ধর্মতলায় রানী রাসমণির বাড়ি, ঠনঠনিয়ার দত্তবাড়ি থেকে শুরু করে বেলুড় – এই ট্যুরে থাকছে অনেক আকর্ষণ। পাওয়া যাবে শোভাবাজার রাজবাড়িতে পাওয়া যাবে দুপুরের ভোগ খাবার সুযোগ। দেখতে পারবেন বেলুড়ের কুমারী পুজোও। এই ট্যুরে আপনি যাওয়ার সুযোগ পাবেন বাগবাজার হালদার বাড়ি, লাটুবাবু-ছাতুবাবু, বেহালার মুখার্জী বাড়ি, বেহালার সোনার দুর্গা এবং আরও অনেক পুজো।