August 28, 2025
কারও ভোটাধিকার কাড়তে দেব না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য :
২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ। দারিদ্রসীমা সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। ১কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে ২০১৩-২০২৩ সালের মধ্যে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছি
সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে আমরা সবুজসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে মোবাইল দেওয়া হয়েছে। ‘স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ড’-এর আওতায় ৯২ হাজার ছাত্রছাত্রী সুবিধা পাচ্ছে
গবেষকদের ইউজিসি গ্র্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করে গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সবটা তো আমাদের লোক থাকেন না। বিভিন্ন জায়গার লোক থাকেন। কেউ কেউ দুষ্টুমি করে, কেউ কেউ মিষ্টিমি করে। আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না
যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বড় বড় কথা বলে। নিয়োগে বাধা দেয়। ভর্তিতে বাধা দেয়। আমি দুঃখিত, জয়েন্টের ফল প্রকাশে একটু দেরি হয়েছে। এর জন্য আমাদের দোষ নেই। যারা কোর্টে করে, এরা একসঙ্গে কেস কেস করে। আবার এসে আমাদের নামে নিন্দা করে। এরা দু’নম্ব
তৃণমূলকে শুধু বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় না। সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার হলে, তখন মুখে বোল ফোটে না। পরশুদিনও হাবরায় একজন মারা গিয়েছেন। তাঁকে মহারাষ্ট্রে মারা হয়েছিল
ইলেকশন আসলেই দেখবেন এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। একটা এজেন্সি নয়। আগে কখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপি করত না। কোনও রাজনৈতিক দল করত না
কিছু হিংসুটে লোক আছে। দেখলেই জ্বলে, আর লুচির মতো ফোলে। এরা হচ্ছে তাই। ১০০ দিনের কাজে পরপর চার-পাঁচ বছর আমরা এক নম্বরে ছিলাম। গ্রামীণ আবাস যোজনা, রাস্তা তৈরিতে এক নম্বরে ছিলাম। তাই সেলফিশ জায়েন্টেরা, যাঁরা হাই লোডেড ভাইরাস, তাঁরা হিংসা করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দিয়ে ভাবছে এনআরসি চালু করবে এবং সকলের ভোটাঅধিকার কেড়ে নেবে। জীবন থাকতে কারও ভোটাধিকার কাড়তে দেব না
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারকে আমি সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো, বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়। কিন্তু বড়রা যদি ললিপপ খায় কোনও পার্টির হয়ে, সেটা মানায় না
রিসেন্ট কথা বলুন। ১৯৪৬ সালের কথা বলছেন কেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখন তো মায়ের পেটেও ছিলেন না। আমিও ছিলাম না। এত জ্ঞান কোথা থেকে এল? জ্ঞানভান্ডারী, জ্ঞানবৃক্ষ সব… জ্ঞানবৃক্ষ নয়, এরা হচ্ছে মগজে মরুভূমি। এরা কোনও দিনও বৃক্ষ হতে পারে না। বাংলার ইতিহাস ভুলে গেছেন? খন আবার সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে দিয়ে। বাংলার বদনাম করার জন্য, বাংলাকে অপমান করার জন্য
জনগনমন অধিনায়ক জাতীয় সঙ্গীত হল কী করে! বন্দেমাতরম জাতীয় গান হল কী করে! জয় হিন্দ স্লোগান দাও কী করে!সারা ভারত থেকে ৫০০ টা দল নিয়ে এসেছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে, কখনও নিজের তথ্য দেবেন না। আপনার ডিটেল নিয়ে গিয়ে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। নিজের ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন, নামটা আছে কি না। আধার কার্ডটা করে রাখুন। আধার কার্ডটা কম্পালসরি করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএমদের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে চাকরি খেয়ে নেব, নয় জেলে পুরে দেব। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়, তার পরে কিন্তু রাজ্য সরকার থাকে। গায়ের জোরে এ সব হবে না। ভান্ডারা আমাদের কাছেও আছে। যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার আছে, তেমন আপনাদের দুর্নীতির ভান্ডারাও আছে। খুলে দেব, ফাঁস করে দেব
আপনারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেন। বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে গরিব মানুষদের উপর অত্যাচার করেন। আমি মনে করি, গরিব মানুষেরা আমার হৃদয়। আমার সবচেয়ে বড় মেধা। আমি জাত-পাত মানি না। আমি মানি মনুষ্যত্ব